১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৭

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করতে রিটকারীদের নোটিশ

  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি ও ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেছেন ৫৪ প্রার্থী। তবে হাইকোর্টের অবকাশের কারণে দ্রুত এ রিটের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কার্যতালিকা অনুযায়ী—আগামী ২ জানুয়ারি রিটের শুনানি হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে আদালত এ নিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে দুই মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারসহ ১৩ দপ্তরে নোটিশ পাঠিয়েছেন রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন।

গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইস্যু করা এ চিঠি আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশ পাঠানো ১৩ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও দপ্তরের মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর, বরিশাল ও সিলেটের উপ-পরিচালক, তিন বিভাগের সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং তিন বিভাগের উপ-কমিশনার।

নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১০২ ধারা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়োগ পরীক্ষার ৫৪ জন প্রার্থীর পক্ষে ফাতেমা আক্তার নামে একজন প্রার্থী এ রিট আবেদন করেছেন। রিটটি শুনানির জন্য ১৮ ডিসেম্বরের কার্যতালিকার তিন নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে। এটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মো. আতাবুল্লাহর আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের অবকাশের কারণে আগামী ২ জানুয়ারির আগে শুনানির সুযোগ নেই। এ সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করছি।

জানতে চাইলে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, যেহেতু বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, এ সময়ের মধ্যে যাতে ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো কাজ না করা হয়, সেজন্য নোটিশ দিয়েছি আমরা। আশা করি—আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের জায়গা থেকে সংশ্লিষ্টরা নিয়োগের সব কার্যক্রম রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখবেন।