০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৩৩

গলায় মুলা ঝুলিয়ে ৩৫ আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ

চাকরিতে প্রবেশে বয়স ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভ  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ কয়েক দফা দাবিতে গলায় মুলা ঝুলিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চাকরীর বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীরা। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়। 

পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে। যারা আশেপাশের লোক প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছে তাদেরকে হুঁশিয়ার করতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ এর আয়োজন। এটা একটি যৌক্তি দাবি। আমাদের দাবি মানতে হবে।  

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, বিশ্বের ১৬২ দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর। কোনো কোনো দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৩৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে ও পাকিস্তানেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর।

তারা আরও বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৭-৫৯ বছর করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আমাদের মতো তরুণ-যুবকরা। আমরা বাঁচতে চাই, মরতে চাই না। আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হোক।

পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভর নেতৃত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারুল হক সনি, সদস্য সচিব এ আর খোকন প্রমুখ।

চাকরিপ্রত্যাশীদের দাবিগুলো হলো- চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বঙ্গবন্ধুর নামে ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও ম্যুরাল) স্থাপন।