১৪ জুলাই ২০১৮, ০৮:২০

কোটা আন্দোলন দমন-পীড়নে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক বার্তা: প্রবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ

ফাইল ছবি

সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রবাসী শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এসব ঘটনার কারণে বহির্বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তথা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।

ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ৬২ শিক্ষার্থী শনিবার গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কোটা সংস্কার যৌক্তিক একটি দাবি। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে।  এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন আন্দোলনকারীরা প্রেস কনফারেন্স করতে গেলে বিনা উস্কানিতে আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়কসহ আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। এমনকি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া থেকেও প্রতিহত করা হয়। এতে দমন-পীড়ন এবং নেতাদের জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।    

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। চলমান এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর কোন কার্যকরী ইতিবাচক ভূমিকা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি।  

অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেককে পুলিশ গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। এমনকি নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ার মত ঘটনাও ঘটছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এবং অভিভাবকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিপীড়িত হয়েছেন। পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উপরোল্লিখিত ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এসব দমন-পীড়নের ঘটনা দিয়ে আমরা বহির্বিশ্বে পরিচিত হতে চাই না। এসব ঘটনার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তথা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।

আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের জন্য নিরাপদ আশ্রয়। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা জরুরি। আমরা সরকারকে দ্রুত চলমান অবস্থার যৌক্তিক সমাধানের আহ্বান জানাই এবং একই সাথে সকল আক্রান্ত শিক্ষার্থীর অবিলম্বে সুচিকিৎসা, গ্রেফতারকৃত ছাত্রছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া এবং যারা এসব বর্বরোচিত হামলা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।  

বিবৃতিদাতা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে-অনির্বাণ ইসলাম, ইউনির্ভাসিটি অফ লাইপসিস, জার্মানি; ফয়সাল বিন তৌহিদ সিদ্দিকী, গেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম; মেহজাবিন হোসেন, ইরাস্মাস ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, নেদারল্যান্ডস; পারভেজ আলম, ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টার্ডাম, নেদারল্যান্ডস; মো: তসলিম মাহমুদ, মনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া; আবু আশিক মোঃ ইরফান, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মঈনুল হোসেন রাহাত, ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র; ইফতে চঞ্চল, ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র; নুসাইবা জামান,ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র; রোমান সরদার, ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ডাকোটা, যুক্তরাষ্ট্র; নাজমুস সাকিব,  ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা, যুক্তরাষ্ট্র; মো তমাল হোসেন, ইউনিভার্সিটি অফ ইউটা, যুক্তরাষ্ট্র; আরাফাত রহমান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড, যুক্তরাষ্ট্র; ডালিম মিয়া, টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ শরীফ উল্লাহ্, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; যুক্তরাষ্ট্র মো নিজাম সাঈদ, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; আবদুল্লাহ আল মামুন, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; তানজিলা তাসনিম আভা, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ কামরুল হাসান, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মো: আবির হোসেন, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ দিদারুল আলম,ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; কাজী আমিনুল ইসলাম, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; রেশাদ, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; পুষ্পিতা কুমকুম, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; সাব্বীর আহমেদ খান, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মো: আবির হোসেন, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; সেলিম সাজ্জেদ, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ হায়দার আলী সায়েম, ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; আলী রেজা আল আমিন,  ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মাহমুদ হাসান, ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ শরিফুল ইসলাম, নরফক স্টেট ইউনিভারসিটি, যুক্তরাষ্ট্র; শেখ মোঃ মাহামুদুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি  অফ  হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ মিন্টু মিয়া,ইউনিভারসিটি অফ হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র; আবদুল মতিন হাওলাদার, ইউনিভারসিটি অফ হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ আশরাফুজ্জামান নাহিদ, ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র; ইবরাহীম মিসবাহ,  ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র; মো মইন উদ্দিন আতিক, ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ শফিকুল  ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ সাদিক হাসান, ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র; শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন, রাইস ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; সোহেল রানা, ইউনিভার্সিটি অফ নেভাডা রিনো, যুক্তরাষ্ট্র; আলভী মাহমুদ,ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোহাম্মদ জাহিদ হাসান,ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; আরিফ মাসরুর, পেনসিলভানিয়া স্টেইট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; আহমদ নাজমুস সাকিব, ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; এম আল আমিন, ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; ওবায়দা শাম্মামা, ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; উৎপল কুমার মন্ডল, টেম্পল ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; কুমার কুলদীপ নিলয়, ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসি, যুক্তরাষ্ট্র; এ বি এম রাফি সাজ্জাদ, ইউনিভার্সিটি অফ এলাবামা, যুক্তরাষ্ট্র; মোহাম্মাদ আসাদ উজ জামান,  ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-মিলাওয়াকে, যুক্তরাষ্ট্র; রাশিদ মিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; ফখরুদ্দীন আলী আযম, ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভারসিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ ইব্রাহিম, ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভারসিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মামুন সরকার,ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা-লিংকন, যুক্তরাষ্ট্র; মোঃ আব্দুস সামাদ, ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র; সাখাওয়াত হোসেন তানিম, ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র; সাদিয়া আহমেদ, ভার্জিনিয়া টেক, যুক্তরাষ্ট্র; অভিজিৎ সুকুল, ওহিও ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; খালিদ হোসাইন, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মুনিম বিন গনি, নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র এবং মোঃ ইমদাদুল হক খান, ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি, যুক্তরাষ্ট্র।