১৩ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪১

চাকরির পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় পাচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  © সংগৃহীত

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় এবার থেকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক-চতুর্থাংশ অতিরিক্ত সময় পাচ্ছে প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা। এ নিয়ম দেশের সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে প্রযোজ্য হবে।  

বুধবার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, শ্রুতিলেখকের সাহায্য নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার মোট সময়ের এক-চতুর্থাংশ অতিরিক্ত সময় পাবেন।

অর্থাৎ, প্রতি ঘণ্টা পরীক্ষার সময়ের বিপরীতে ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন। এক ঘণ্টার কম সময়ব্যাপী পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত সময় হবে আনুপাতিকহারে। তবে পরীক্ষার ব্যাপ্তি যতই সংক্ষিপ্ত হোক না কেন, অতিরিক্ত সময় ন্যূনতম পাঁচ মিনিটের কম হবে না।

আরও পড়ুন: ‘ইউজিসি প্রফেসর’ হলেন দুই অধ্যাপক

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী ছাড়া আকস্মিক দুর্ঘটনাজনিত কারণে কিংবা স্থায়ী প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর শ্রুতিলেখকের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা প্রতি ঘণ্টা পরীক্ষা সময়ের বিপরীতে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন। এক ঘণ্টার কম সময়ব্যাপী পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত সময় হবে আনুপাতিক হারে। তবে পরীক্ষার ব্যাপ্তি যতই সংক্ষিপ্ত হোক না কেন, অতিরিক্ত সময়ের ন্যূনতম সীমা পাঁচ মিনিটের কম হবে না।

যেসব পরীক্ষায় সাধারণভাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, জ্যামিতি বক্স বা অনুরূপ সরঞ্জাম ব্যবহারের অনুমতি থাকে, সেসব পরীক্ষায় শ্রুতিলেখক পরীক্ষার্থীর নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও পরীক্ষার্থী টকিং ক্যালকুলেটর, ব্রেইল স্লেট, টেইলর ফ্রেম, জিওমেট্রি ম্যাট, হুইলচেয়ার ও ব্রেইল স্কেল অ্যাবাকাস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপনে শ্রুতিলেখকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,  শ্রুতিলেখক অর্থ এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝাবে যিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, আকস্মিক দুর্ঘটনাজনিত কারণে কিংবা স্থায়ী প্রতিবন্ধিতার কারণে নিজ হাতে লিখিতে সক্ষম নন—এমন পরীক্ষার্থীদের প্রদত্ত বক্তব্য শুনে শুনে উত্তরপত্রে হুবহু লিখবেন।