০৯ জুলাই ২০২৩, ০৯:১৪

ইতালি নেবে সাড়ে ৪ লাখ শ্রমিক, সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরাও

ইতালি নেবে সাড়ে ৪ লাখ শ্রমিক  © সংগৃহীত

স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ৪ লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে ইউরোপের দেশ ইতালি। এতে বাংলাদেশিরাও সুযোগ পাবেন। যুক্তরাজ্যের পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি ইতালিতে বসবাস করে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ।  চলতি বছর স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালি সরকার ৮২ হাজার শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চলমান এই স্পন্সর আইনের মধ্যেই দেশটির সরকার আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্পন্সর ভিসার গেজেট প্রকাশ করেছে। শুক্রবার ওই গ্যাজেটের অধীনে কোটা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ।
এতে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে চার লাখ শ্রমিক নেয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। 

এক আদেশে বলা হয়েছে, ইউরোপের নাগরিক নয়-এমন ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ইতালিতে নেওয়া হবে। এর মধ্যে আগামী বছর ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি পাবে এক লাখ ৩৬ হাজার জন।

পরের বছর এ সুযোগ পাবেন এক লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে এক লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক। এ বছরের জন্য ঘোষিত ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ৮২ হাজার শ্রমিক ইতোমধ্যে ভিসা পেয়েছেন, বাকিদের ভিসা প্রসেসিং  হচ্ছে।

আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন গ্রেডে নেবে একাধিক কর্মচারী

২০২২ সালের কোটায় চলতি বছর আরও ৪০ হাজার শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেলোনির মন্ত্রিপরিষদ। ইতালিতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক আসতে পারবে কৃষি ও পর্যটন খাতের কাজের জন্য।

এছাড়া ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ, পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বড় ট্রাকের চালক পদে এবং পর্যটন হোটেল, মেকানিক, টেলিকমিউনিকেশন ও খাদ্য-দ্রব্যাদি উৎপাদন খাতেও শ্রমিক আসতে পারবে। এর সঙ্গে বিদেশিদের জন্য নতুন শ্রম খাত যোগ করা হয়েছে ইতালিতে, যার মধ্যে আছে যাত্রীবাহী বাস চালক, নার্স, বৃদ্ধদের দেখাশোনা করা এবং মাছ বাজারজাত করা।

তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তি না থাকায় ট্রাক কিংবা বাস চালকরা আসতে পারবে না। তবে কোনও বাংলাদেশি যদি এমন দেশে থাকে, যার সঙ্গে ইতালির ড্রাইভিং লাইসেন্সের চুক্তি রয়েছে- সেই দেশ থেকে আবেদন করা সম্ভব।

এই সিদ্ধান্তে বেশ উচ্ছ্বসিত ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেকেরই ইতালিতে আসার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তারা। বিদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন করে কৃষি এবং পর্যটন খাতের পাশাপাশি জেলে এবং ওয়েল্ডিংয়ের জন্যও কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের শিল্পোন্নত ও প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালি।