২৩ মে ২০২৩, ২২:১০

সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ ইডেন ছাত্রীর

  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর বাড়ানোর দাবিতে ফেসবুকে এক লাইভে এসে নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজধানীর ইডেন কলেজের ছাত্রী মুক্তা সুলতানা। তার সার্টিফিকেট এখন সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না জানিয়ে ২৭ বছরের অর্জিত সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) ইডেন কলেজের সামনে মুক্তা তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। সেশনজট ও করোনার  কারণে যাদের চাকরির আবেদনের সময় শেষ হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে তিনি এই প্রতিবাদ করেন।

লাইভে দেখা যায়, তিনি তার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতোকোত্তরের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। পুড়িয়ে ফেলার আগে তিনি দেখান, তার স্নাতক পরীক্ষা ২০১৩ সালে এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে তার পরীক্ষা হলেও ২০১৯ সালে তার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েও তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছর কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। এদিকে চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার আবেদনের সময়ের ৪ বছর কাজে লাগাতে পারছেন না। 

লাইভে আক্ষেপের সুরে মুক্তা সুলতানা বলেন, যে সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় না, বেসরকারি চাকরিতেও আবেদন করা যায় না সে সার্টিফিকেট রেখে কী লাভ।

পরে মুক্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সুযোগ করে দেওয়া হোক, আপনি তো লাইভে দেখলেন সেখানে বলেছি, আমরা পাশ করলেও সেশনজটের কারণে আবেদনের বয়স ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক সেটাই চাই।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও এই বয়স সীমা নেই। শুধু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে এই অবস্থা। ২৭ বছর পড়াশুনা করে যদি আবেদনই না করতে পারি তাহলে আমরা কী করতে পারি?

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার জন্য আন্দোলন ও প্রতিবাদকারীদের একজনর মুক্তা। তারই অংশ হিসাবে আজ তিনি সারাজীবনের সব সার্টিফিকেট ফেসবুক লাইভে এসে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন।