০২ মে ২০২৩, ০৯:১৪

নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করলেন এমপি, প্রার্থীরা আটকালেন প্রধান শিক্ষককে

জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করেন নিয়োগ প্রার্থীরা  © সংগৃহীত

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. শাহ আলমের নির্দেশে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে দ্রুত আবার পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দিলে দু’ঘণ্টা পর প্রধান শিক্ষক মুক্ত হন।

জানা গেছে, উপজেলার আটিপাড়া স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ও রামেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঁচটি পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয় গত ১৮ মার্চ। কিন্তু এমপি শাহআলমের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার পুনরায় জিলা স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়। প্রার্থীরাও সবাই চলে আসে। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি ও জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলামকে সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম নিয়োগ স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

পরে নিয়োগ বোর্ডের মো. লুৎফর রহমান ও সুখেন্দু শেখর বৈদ্যকে জানান নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর নিয়োগ প্রার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা বিক্ষোভ ও শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। দু’ঘণ্টা পর দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় পরীক্ষার্থীরা ফিরে যান।

পরীক্ষার্থী সুকান্ত চন্দ্র দাস বলেন, রামেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী তিনি। গলাচিপা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। এসে শুনেছেন পরীক্ষা হবে না। বিনয় হালদার নামে আরেকজন বলেন, পরীক্ষা দিতে একাধিকবার এসেছি। আজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে। প্রধান শিক্ষক বলেছেন, আজকে যাও, পরে জানিয়ে দেয়া হবে। তখন জানতে পারি, তার কারণে পরীক্ষা হয়নি।

রামেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ সিকদার বলেন, দেড় মাস আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর আগে নিয়োগ পরীক্ষায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে এমপির বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। সে জন্য পরীক্ষা হয়নি। সোমবার জিলা স্কুলে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এসে শুনতে পেয়েছেন ডিজির প্রতিনিধি এমপির নির্দেশে পরীক্ষা নেয়নি। 

জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, এমপি ফোন করে বলেছেন সমস্যা আছে। পরীক্ষা নেয়া যাবে না। তাই নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এমপি শাহে আলম জানান, নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আছে। এজন্য মানববন্ধনও হয়েছে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।