১৮ মার্চ ২০২৩, ২৩:৫১

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ

  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ তিনদফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় নীলক্ষেত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের উঠিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় তাদের পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা মহামারির সময়ে প্রায় সব প্রকার চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল। পৃথিবীর অনেক দেশ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তার বেশি থাকা সত্ত্বেও করোনা মহামারির কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আরও ২-৩ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। কিন্তু  বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত ৭১ বার সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি উত্থাপন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশ করলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তাই চাকরি প্রার্থীদের দাবি অনতিবিলম্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর এবং অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তারা। ওই সময় তারা সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ প্রথম শ্রেণিতে ২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণিতে ১০০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫০ টাকা করার দাবি জানান।

সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ বলেন, ২০১১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি এবং চাকরি শেষে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ স্বাভাবিক চাকরি প্রক্রিয়া ক্ষেত্রে অন্তরায়।

নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-এর পাতা ৩২ এবং শিক্ষা দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে বলা আছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরীখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা এই ইশতেহারের বাস্তবায়ন চাই।

ওই সময় শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। দাবির মধ্যে রয়েছে—চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপন করা।