ক্রেতা থেকে দর্শনার্থী বেশি
করোনার প্রাদুর্ভাবে কিছুটা বিলম্বে হলেও অবশেষে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা। এতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি দেখছেন বিক্রেতারা। তাদের প্রত্যাশা, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যাটাও বৃদ্ধি পাবে।
এবারে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রয়েছে ৩৩টি প্যাভিলিয়নও।
এই মহামারির প্রাদুর্ভাবের মাঝেই বইমেলা পার করছে চতুর্থ দিন। রবিবার (২১ মার্চ) মেলায় দর্শক সমাগম কিছুটা বাড়লেও বেচাকেনা নিয়ে হতাশ বিক্রেতারা। বিকেলে মেলা চালু হওয়ার পর পাঠক একদম ছিল না। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পরও খুব বেশি দর্শনার্থীর সমাগম দেখা যায়নি।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মেলার পাঠক আসলেও তাদের খুব বেশি বই কিনতে দেখা যাচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন- শুরুর দিকে এরকম সবসময় হয়, তবে ছুটির দিনগুলোতে সমাগম বাড়ে। হয়তো দিন বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী প্রশান্ত চৌহান বলেন, মেলায় প্রথম থেকেই বই বিক্রি খুব কম। তবে দিন বাড়ার সঙ্গ সঙ্গে বেচা-বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অন্যান্যবারের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম হতে পারে।
প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীর শফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের বই মেলায় অন্যরকম চিত্র দেখছি। অন্যান্যবারের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। বইমেলার প্রথম কয়েকদিন মানুষের ভিড় লেগে থাকত কিন্তু এবার সেরকম নেই। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে হয়তো ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়বে।
বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে শুক্রবার বেলা ১টা থেকে বেলা ৩টা এবং শনিবার বেলা ১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে। বইমেলা চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।