অমর একুশে গ্রন্থমেলা: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আর মাত্র দু’দিন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্টল সাজাতে শ্রমিক-মালিকদের যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই। আগামী রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শুরু হবে মাসব্যাপী প্রাণের এই মেলার।
এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছয় হাজার বর্গফুটের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি স্টলসহ মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৫১টি স্টল বরাদ্দ থাকবে। রবিবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে একাডেমির ভেতরের অংশে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্টলের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। চলছে স্টল সাজানো আর রংয়ের কাজ।
স্টল সাজানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাজেদুল ইসলাম নান্নু। কাজ করতে করতেই কথা হচ্ছিল তার সাথে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে টাকার অভাবে অনার্সে পড়ার সুযোগ মেলেনি। গ্রন্থমেলায় কাজ করে যে টাকা উপার্জন করবেন তা দিয়েই চালাবেন সংসার। তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এই বই আমরা কিনতেও পারব না, পড়ার সুযোগও হবে না।
যারা বই কিনবে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বই হল প্রথম স্তরের বন্ধু। জীবনে যত বন্ধু-বান্ধব থাকুক না কেন, বই হল সবচেয়ে বড় বন্ধু। যে বই পড়তে পারবে সে দুনিয়াকে ভালবাসতে পারবে। আর যার ভেতরে বইয়ের আলো নেই সে কিছুই জানবে না।
প্রতি বছর ১লা ফেব্রুয়ারির দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়। তবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থাকায় এবার একদিন পিছিয়েছে এই মেলা। অনেক নতুন এবং তরুণ লেখক অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মাসব্যাপী এই প্রাণের মেলার।
গ্রন্থমেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক তরুণের লেখা বই প্রকাশিত হয়। তেমনি এবারও মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র নুরুল ইসলাম নুরের বই ‘গল্পের শেষে তোমারই নাম’ এবং ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র জাহিদ আহসানের ‘পবিত্র অভিশাপ’ বইসহ অনেক নতুন লেখকের বই প্রকাশিত হবে।