২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:০৫

সায়েন্স ফিকশন-উপন্যাসের চাহিদা বেশি

রবিবারের বইমেলার চিত্র  © সংগৃহীত

বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে অমর একুশে বইমেলা। আর মাত্র চারদিন পরেই ভাঙবে প্রাণের এই মেলার। সঙ্গে সঙ্গে লেখক-পাঠক-প্রকাশক আর সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষদের পদচারণা থাকা বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আবার নেমে আসবে শুনশান নীরবতা। আগামী বছরের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনবে সবাই।

গ্রন্থমেলার ২৪তম দিন রবিবার বিকেলে তিনটায় মেলার দ্বার খুলার পর থেকে মেলা প্রাঙ্গনে বইপ্রেমীদের পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। প্রথমা প্রকাশন, অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী, শব্দশৈলী প্রকাশনী ইত্যাদি স্টলগুলোতে একটু বেশি ভিড় ছিল। মেলার শেষ দিকে হওয়াতে বেচাবিক্রিও ভাল ছিল বলে জানায় প্রকাশকরা। তাই স্টলগুলোতে তারা বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছে। 

বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেলায় সায়েন্স ফিকশন ও উপন্যাসের চাহিদা বেশি রয়েছে। বইপ্রেমীরা এসব বই বেশি কিনছেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি রুমাত বলেন, আমাদের খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন ‘নিয়ান’ ও মৌরি মরিয়ামের উপন্যাস ‘অভিমানিনী’ বইগুলো বেশি খুঁজছেন দর্শনার্থীরা।

বইমেলায় কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর মাহবুবুর রহমানের সাথে। তিনি সস্ত্রীক মেলায় এসেছেন, হাতে ছিল প্যাকেটভর্তি বই। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বই আমার পরম বন্ধু। যেহেতু বইমেলায় এসে ইচ্ছেমতো বই নিতে পারি তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র রবিউল বলেন, বইমেলা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু এখনো তেমন বই কেনা হয়নি। আজকে বেশকিছু বই কিনবো।

বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা বইমেলা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ বইমেলার মেয়াদ আরো কিছুদিন বাড়ানো উচিত বলে জানান।