লিটলম্যাগ কর্নার: নতুন লেখকদের প্ল্যাটফর্ম
নামীদামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন লেখকদের লেখা তেমন প্রকাশ করতে চায় না। এর ফলে নতুন লেখকরা লেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আর আমরা হারিয়ে ফেলি সম্ভাবনাময় অসংখ্য রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কিংবা হুমায়ূন আহমেদকে। তাই নতুন লেখকদের বই প্রকাশে সহায়তা করে যাচ্ছে লিটলম্যাগ কর্নার।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বইমেলার একপাশে চোখে পড়ে অসংখ্য ছোট ছোট স্টল। এগুলোকেই বলা হয় লিটলম্যাগ বা লিটল ম্যাগাজিন কর্নার। লিটলম্যাগ কর্নারের প্রকাশনীগুলো মূলত নতুন লেখকদের লেখা প্রকাশ করে থাকে। এখানে শুধু ম্যাগাজিন নয়, রয়েছে গল্প, কবিতা ও উপন্যাসের বই। বিবর্তন প্রকাশনীর স্টলে কথা হয় নতুন লেখিকা নাসরীন জামানের সাথে। তিনি বলেন, বড় বড় প্রকাশনীগুলো তো নতুন লেখকদের লেখা প্রকাশ করতে চায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করছে লিটলম্যাগের এসব প্রকাশনীগুলো। বিবর্তন প্রকাশনীর মাধ্যমে তিনি দুইটি বই প্রকাশ করতে পেরেছেন বলে জানান।
লিটলম্যাগ চত্বরে আরও কথা হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আখতারুজ্জামান সাগরের সাথে। তিনি বলেন, পুরান লেখকদের তো সবাই চিনে। কিন্তু নতুন লেখকদেরও তো উৎসাহ দিতে হবে তাই না? এজন্য এখান থেকে বই নিতে এসেছি। প্রকাশকদের মতে, আজকের অনেক বিখ্যাত লেখক এক সময় এ ম্যাগাজিন গুলোতে লিখতেন। সরেজমিন দেখা যায়, এবছর এখানে ১৩১টি স্টল বসেছে এখানে।
রাকিব নামে একজন বিক্রয়কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দর্শনার্থীরা অনেকেই লিটলম্যাগ সম্পর্কে জানেন না। তাই বেচা-বিক্রি একটু কম হয় এখানে। তিনি লিটলম্যাগ কর্নারের স্টলগুলোকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরিয়ে নেয়া উচিত বলে মনে করেন।