১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৮

দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে নতুন বই, বেশি কবিতার

স্টলে বইপ্রেমীদের ভিড়। সোমবারের ছবি  © সংগৃহীত

অমর একুশে গ্রন্থমেলার জন্য সারা বছর বইপিপাসুরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এই মেলা থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকরা সারা বছর বেঁচে থাকার সঞ্জীবনী শক্তি সঞ্চয় করেন, যে শক্তি সবাইকে চালিত করে। তাইতো মেলায় প্রতিদিনই আসছে নতুন বই। এবারের মেলায় ১১তম দিন সোমবার পর্যন্ত মোট নতুন বই এসেছে ১ হাজার ৫৩১টি। নতুন প্রকাশিত এসব বইয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কবিতার বই। এর পরে আছে গল্প ও উপন্যাস। এছাড়া মেলায় সোমবার নতুন বই এসেছে ১২৮টি।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ১ হাজার ৫৩১টি। যার মধ্যে কবিতার বই ৪৪৫টি, উপন্যাস ২৪৫টি, গল্পগ্রন্থ ২৪১টি, জীবনী ৪৮টি, শিশুতোষ ৪৭টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৪৪টি, ছড়া ৩৭টি, ভ্রমণ ৩৩টি, ইতিহাসভিত্তিক বই ৩০টি, বিজ্ঞানবিষয়ক ৩০টি, গবেষণা ২৬টি, সায়েন্স ফিকশন ও গোয়েন্দা কাহিনী ২৩টি, নাটকের বই ১৪টি, রম্য/ধাঁধা ১৪টি, রাজনীতিবিষয়ক বই ১৩টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত বই ১২টি, ধর্মীয় ৮টি, রচনাবলি ৫টি, অনুবাদ ৫টি, কম্পিউটার বিষয়ক তিনটি, অভিধান ১টি। এছাড়া অন্যান্য বই রয়েছে ১১৭টি।

বিভিন্ন স্টলের সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় এবার সবচেয়ে বেশি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। সুন্দর ও ঝকঝকে প্রচ্ছদের এসব বই পাঠকের দৃষ্টি কাড়লেও কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অনীহা দেখা গেছে। তবে যাও দুয়েকটি বিক্রি হচ্ছে তা কিনছেন কবিদের পাঠানো লোকজনই। সাধারণ বইপ্রেমী বা পাঠকরা স্টলে এসে কবিতার বইয়ের চেয়ে অন্য বইয়ের খোঁজ বেশি করছেন।

কথাপ্রকাশ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিবছরই অন্য বইয়ের চেয়ে কবিতার বইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। এবারও তা ব্যতিক্রম নয়। তবে মানহীন বইয়ের মধ্যে বেশিরভাগই থাকে কবিতার বই। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই খারাপ একটি দিক। তাই প্রকাশকসহ সবাইকে কবিতার বইয়ের ব্যাপারে একটু কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চ: বিকেল ৪টা গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী : জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনুপম হায়াৎ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আমানুল হক, লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং শিবলী মহম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামাল লোহানী।

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন-হোসেন উদ্দীন হোসেন, হাবিব আনিসুর রহমান, ড. তাশরিক-ই-হাবিব, মশিউল আলম এবং শিহাব শাহরিয়ার। সন্ধ্যায় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং চঞ্চল আশরাফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন গোলাম সারোয়ার এবং মুঃ আহসান উল্লাহ ইমাম খান তমাল। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী চন্দনা মজুমদার, শফিম-ল, সেলিম চৌধুরী, পাগলা বাবুল, রুশিয়া খানম এবং কোহিনুর আকতার গোলাপী। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বেণু চক্রবর্তী (তবলা), মো. মামুনুর রশিদ (বাঁশি), আনোয়ার সাহাদাত রবিন (কী-বোর্ড), রতন কুমার রায় (দোতারা)।

কালকের অনুষ্ঠানসূচি: মঙ্গলবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১২তম দিন। মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবি-অনুবাদক মনিরউদ্দীন ইউসুফ : জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হাসান হাফিজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শফিউল আলম, রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং মোহাম্মদ আবদুল হাই। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।