শেষ দিনটা কাটল আড্ডা আর বই কেনার আনন্দে
পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ৩১ দিনের একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা নামল শনিবার। অন্যান্য দিনের মতোই এদিন দর্শনার্থীরা আড্ডা আর ঘোরাঘুরি করে কাটিয়েছেন সময়। অনেকে নতুন বইও কিনেছেন। সব মিলিয়েই লেখক-পাঠক-প্রকাশক আর দর্শনার্থীর সরব উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।
এদিন রাত সাড়ে ৮টার পর থেকেই দেখা যায়, কোনো কোনো স্টলে বিক্রয়কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন। মাসজুড়ে কাজের মধ্য দিয়ে পরস্পরের মাঝে যে সৌহার্দ্য গড়ে উঠেছিল, তার যবনিকা টানতে গিয়ে কারো কারো চোখে টলমল করতে দেখা যায় বিষাদের জল।
উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে করে বইমেলায় এসেছেন টঙ্গি কলেজের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান। তিনি জানান, তিনি চলতি বছরে শনিবারই প্রথম মেলায় এসেছেন। নিজের ও পরিবারের ব্যস্ততায় চাইলেও আসার সুযোগ হয়নি তার। তিনি বলেন, মেলায় আমার শেষ দিনটা কেটেছে আড্ডা আর বই কেনার আনন্দে।
শনিবার ছিল বইমেলার ৩১তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন নতুন বই এসেছে ১৪৯টি। মেলায় সকাল থেকে লোক সমাগম কম হলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই অনেকে আসেন। অনেকে বন্ধুদের বই উপহারও দেন।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, তাদের হিসাবে এবার মেলায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। একাডেমির প্যাভিলিয়ন ও প্রধান বিক্রয়কেন্দ্রে শুক্রবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
গতকাল সমাপনী দিনেও একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে নতুন প্রকাশিত ১৪৯টি নতুন বইয়ের নাম জমা পড়েছে। এ নিয়ে এবার মেলায় মোট নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর নতুন বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৩০। এবার কবিতা ১ হাজার ২৬২টি, উপন্যাস ৫৪০টি ও গল্প ৫২টি।
শেষের দিন বিকেলে একাডেমির মাঠের মূল মঞ্চে ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ও সংস্কৃতিসচিব খলিল আহমদ।