ছুটির দিনে গ্রন্থমেলায় দর্শনার্থীদের ভীড়
চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিন। আজ শুক্রবার ছুটির দিন অবসরে মেলায় ভিড় জমিয়েছেন পাঠকরা। কেউ কেউ স্টল ঘুরে দেখছেন বই। কেউবা তুলছেন ছবি। পাঠকদের সরগরমে উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে আজকের বইমেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার বিভিন্ন স্টলের সামনে পাঠকেরা বই দেখছেন। নারীদের অনেকেই মাথায় জড়িয়েছেন ফুল। মেলা উপলক্ষ্যে সবার মাঝে যেন উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। পাঠকদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরাও। পছন্দসই বই খুঁজে পাঠকের সামনে হাজির করছেন।
ছুটির দিনে মেলায় লেখকদের উপস্থিতিও রয়েছে। প্রথমা প্রকাশনীতে পাঠকদের সাথে কথা বলছেন লেখক আনিসুল হক। এছাড়া অন্যান্য স্টল ঘুরেও লেখকদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে বইমেলায় এসেছেন নাফিস মুবারাত। তিনি জানান, বইমেলায় এবার আমেজ পূর্ণ হবে। শুক্রবার দেখে মেলা দেখতে এসেছেন তিনি। মুবারাত বলেন, অনেক স্টলে কাজ পরিপূর্ণ শেষ হয়নি। তবুও ভালো লাগছে।
মিরপুর থেকে আসা স্মৃতি আক্তার জানান, বইমেলার মাধ্যমে নতুন বইয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। মেলায় অনেক পছন্দের লেখক আসছেন। তাদের সাথে দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়। বইমেলার এ সুযোগটা আমাদের মতো পাঠকদের জন্য বড় পাওয়া।
পাঠকের উপস্থিতি বাড়লেও আশানুরূপ বইয়ের বিক্রি নেই বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা। তারা বলছেন, পাঠক বই উল্টেপাল্টে দেখলেও কিনছেন খুব কম। অনেকেই বইয়ের সাথে শুধু ছবি তুলছেন।
বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ধৃতি রাণী বলেন, ছুটির দিনে বরাবরই পাঠকের সমাবেশ হয়। গতবারও আমি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। এ বছর দর্শনার্থী বেশি। তবে শুরুর দিকে হওয়ায় বিক্রি কম হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে এটা আরও বাড়বে।
শোভা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী শান্তা আক্তার বলেন, মানুষ এখন সেভাবে বই পড়ে না। পাতা উল্টে চলে যায়। আমাদের প্রকাশনীতে অনেক চমৎকার বই আছে। তবে যারা কেনার তারা তো কিনবেই।
এবারের বইমেলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা। বায়ান্ন (৫২’) প্রকাশনীর সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী নূরে আলম সরকার বলেন, এবারের বইমেলা অন্যবারের তুলনায় গোছানো। পাশাপাশি মেট্রোরেল রয়েছে। আশা করছি, অন্য যেকোনো বারের তুলনায় এবার পাঠকের সংখ্যা বেশি হবে।