শঙ্খনীল কারাগার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ১১:৫২ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০১৮, ১১:৫২ PM
প্রফেসর ড. মস্তাবুর রহমান আমার বাল্যকালীন এবং জীবনের শ্রেষ্ট বন্ধু সেহেতু তিনির বেড়ে উঠা এবং তার জীবনের সফলতা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের দু’জনের বন্ধুত্ব এবং একত্রে চলাফেরা সেই ছোটকাল থেকে যা আজ অবধি অক্ষত আছে।
একজন সৎ, বিনয়ী, সদা হস্যজ্জোল, এবং বহু গুনে গুনান্বিত একজন মানুষ প্রফেসর ডঃ মস্তাবুর রহমান।জন্ম ১৯৭৫ সালে বিয়ানী বাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ফেনগ্রামে। স্কুলের হাতেখড়ি ফেনগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৮৫ সালে পিএইচজি হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে ১৯৯০ সালে ১ম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। তারপর সিলেট এমসি কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে ১ম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন।
এরপর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার সায়েন্স এন্ড ক্যামিকেল টেকনোলজি বিভাগে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি ১৯৯৮ সালে বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, তিনি বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং এ প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। তারপরই তিনি একই বিভাগে ১৯৯৯ সালে শিক্ষকতার সুযোগ পান এবং শিক্ষকতা শুরু করেন।
প্রফেসর মস্তাবুর রহমান ২০০৩ সালে তিনি জাপান সরকারের দেয়া স্কলারশীপ নিয়ে জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি এম ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ২০০৫ সালে দেশে ফিরে পুনরায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। তারপর ২০০৮ সালে ইতালি সরকারের দেয়া স্কলারশীপ নিয়ে ইতালির তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন প্রফেসর ড. মস্তাবুর রহমান।
২০১১ সালে তিনি পুনরায় দেশে ফিরে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগের অর্থ্যাৎ পলিমার সায়েন্স এন্ড ক্যামিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি যখন ইতালির তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন তখন জার্মানি,ফ্রান্স,সুইজারল্যান্ড,সুবেনিয়া সহ ইউরোপের অনেক দেশে বিভিন্ন কনফারেন্স এবং সেমিনারে যোগদান করেন।
এছাড়া তিনি ২০১৩ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।এই জ্ঞানী এবং মহান ব্যক্তি আমাদের বিয়ানীবাজার তথা পুরো সিলেটবাসীর গর্ব। আগামি দিনে এই আলোকিত এবং জ্ঞানী মানুষের হাত ধরে দেশ, জাতি, এবং সমাজের আরো অনেক মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবেন সেটাই প্রত্যাশা। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একজন অনুস্মরনীয় ব্যক্তি।