‘বই নিয়ে বিত্তের ব্যবসা করার আগে চিত্তের ব্যবসা করুন’

কবি মো. নুরুল হুদা
কবি মো. নুরুল হুদা  © ফাইল ছবি

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি মো. নুরুল হুদা বলেছেন, বই প্রকাশ করুন। কিন্তু বইটাকে বই হিসেবে প্রকাশ করুন। যদি অনুবাদ বই হয় সেটিকে অবশ্যই পরীক্ষা করে প্রকাশ করুন। না হলে এটি অপঅনূদিত বই, অনূদিত নয়। যদি ভালোমানের প্রকৃত বই হয়, তাহলে সেটি দশ বছর পর হলেও এর পিছনের বিনিয়োগ খরচ উঠে আসবে।  

আগামী ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ৩১তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলা একাডেমির মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে লেখক ও প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 'মুক্তধারা ফাউন্ডেশন' এর আয়োজন করে। 
 
কবি নুরুল হুদা বলেন, বই নিয়ে বিত্তের ব্যবসা করার আগে চিত্তের ব্যবসা আগে করুন। বইটিকে ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। সঠিকভাবে অনুবাদ করুন। প্রকৃত বই হিসেবে উন্নীত করতে হবে। যদি ভালো বই হয় দশ বছর পর হলেও বইয়ের বিনিয়োগ উঠে আসবে। গ্রহণযোগ্য ভালো মানের বই কখনও বিফলে যায় না।  
 
অনুবাদ গ্রন্থ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাবাজারে যে অনুবাদ হয়, সেটি অনুবাদ নয়। ফলে সেটি পড়াও যায় না। এটা পাইরেটেড অনুবাদ কি না। যা অনুবাদ করা হলো সেটি ভুল অনুবাদ কি না এগুলো দেখতে হবে। যিনি অনুবাদ করবেন যিনি সম্পাদনা করবেন তিনি ভুলগুলো দেখবেন। অবশ্যই পাণ্ডুলিপি যদি সুষমভাবে পরীক্ষা করার নিয়ম চালু করা হয়, তাহলে সেটি অবশ্যই বিক্রি হবে। 
 
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, নিউইয়র্কে বাংলা বইমেলা হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের। অধিকাংশই এখানে প্রাণের টানে যান। তাই বাংলাদেশের প্রকাশকদের প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন৷
 
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিগত ৩০ বছর ধরে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে  আয়োজিত বাংলা বই মেলার কথা তুলে ধরে বিশ্বজিত সাহা বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে নিউইয়র্ক বইমেলা আরো সুন্দর ও বড় আকারে করা যাবে। প্রবাসে বাঙালি কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রসারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
 
গোলাম ফারুক ভূঁইয়া বলেন, কলকাতার পর নিউইয়র্ক সর্ববৃহৎ বইমেলা। করোনার কারণে কিছুটা বিঘ্ন হয়েছে। এবার আমরা চাচ্ছি বাংলা বইমেলাকে ধরে রাখার জন্য। নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা। তারা আসবে তারা বই পড়বে। আমরা  পরামর্শ চাই কীভাবে এই বইমেলাকে আরো সমৃদ্ধভাবে করা যায়। আমরা পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে চাই।
 
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবীন আহসান, অনন্যা প্রকাশনের হুমায়ূন কবির ঢালী, নুপুর প্রকাশনীর মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, কাকলী প্রকাশনীর সেলিম আহমেদ, লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ