মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত হলো ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’
এবার মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। মারাঠি ভাষায় অনূদিত এই গ্রন্থটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপূর্ণ আত্মকথা’। গ্রন্থটি বাংলা থেকে মারাঠি ভাষায় অনুবাদ করেছেন বিশিষ্ট লেখিকা, সাংবাদিক ও লোকমত পত্রিকার ফিচার সম্পাদক অপর্ণা ভেলনকার। এটির প্রকাশক আনন্দ লিমায়ে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে মারাঠি সংস্করণের এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন জানিয়েছে, বইটির মারাঠি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গভর্নর ভগৎ সিং কুশিয়ারী, মুম্বাই মারাঠি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নরেন্দ্র ওয়াবেল, হনারারী কন্সাল জেনারেল গ্রুপের সভাপতি ভিজয় কালান্ত্রি এবং দিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার মো. নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ভিডিও বার্তা উপস্থিত অতিথিদের জন্য প্রদর্শন করা হয়। ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাতির পিতার আদর্শ আজও আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল প্রতিপাদ্য বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘মারাঠি সংস্করণ অপূর্ণ আত্মকথার মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। যে দুই ডজন ভাষায় ঐতিহাসিক এ বইটি অনুদিত হয়েছে, তার সঙ্গে এ অঞ্চলের মারাঠি ভাষা যুক্ত হলো।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি ও মানবিকতার আদর্শ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহারাষ্ট্র রাজ্যের গভর্নর। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুধাবনের জন্য বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট ছিল। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা যায় এগুলো বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে থাকা অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। পরে এগুলো বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় গ্রন্থাকারে অসমাপ্ত আত্মজীবনী নামে ২০১২ সালের জুনে প্রকাশ করা হয়।
২০১২ সালের জুনে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চিনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্পেনীয়, অসমীয়া, রুশ ভাষা ও মারাঠি ভাষাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।