মোবাইল গেমসের বিরুদ্ধে বই পড়া আন্দোলন
উপস্থিত শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ছয়টি পাঠাগারের সদস্য। সেখানে গাড়িযোগে বই নিয়ে হাজির ইউএনও শুভাশিস ঘোষ। সবার হাতে তুলে দেওয়া হলো মূল্যবান বই। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) এমনই ব্যতিক্রমী আয়োজন হয়ে গেল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কালীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
‘অনলাইন মোবাইল গেমসের বিরুদ্ধে বই পড়া আন্দোলন’ নামে সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ আয়োজন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০০ পাঠাগার চালুর কাজ চলছে। উপজেলার দক্ষিণ গলিয়ারা ইউনিয়নের কালীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের ৫০ জন বইপ্রেমিক শনিবার সকাল থেকে সমবেত হন। তাদের সবার হাতে তুলে দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের বই। বই পাওয়াদের তালিকায় ছিলেন শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক নারী-পুরুষও। এ সময় অনেকেই নিজেদের স্মার্টফোন সামনে রেখে দিয়ে বই পড়তে শুরু করেন।
আয়োজকরা জানান, করোনার মহামারিতে শিশুরা অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। বয়স্করাও কেউ কেউ অনলাইনে অহেতুক সময় ব্যয় করেন। কিন্তু বই পড়া নিয়ে অনেকেরই অনীহা। তাই বই বিতরণ ও পাঠাগার চালুর মধ্য দিয়ে আন্দোলনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় ১০০ পাঠাগার তৈরির কাজ চলছে। শনিবার কালীর বাজার এলাকায় দুটি পাঠাগার চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে পাঠকদের সব ধরনের বই নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
‘অনলাইন মোবাইল গেমসের বিরুদ্ধে বই পড়া আন্দোলনে’ সবাইকে অংশ নিতে বলব। এর মধ্য দিয়ে মোবাইলের ক্ষতিকর আসক্তি থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিরত রেখে বই পড়ায় আগ্রহী করা সম্ভব।