সৃজনশীল বই বিক্রিতে হয়রানি বন্ধ দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৫০ PM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৫০ PM
সৃজনশীল নোট-গাইড বই বিক্রিতে মাঠ পর্যায়ে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ বার্ষিক সভায় এ দাবি জানানো হয়। প্রকাশক ও বই বিক্রেতাদের এই দাবিতে হয়রানি বন্ধের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, বিদ্যমান আইনে সৃজনশীল বই বিক্রিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। সৃজনশীল বই নোট-গাইড নয়। তাই আইনের দোহাই দিয়ে মাঠ পর্যায়ে হয়রানি বন্ধে করতে হবে।
সম্মেলনে প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা বলেন, করোনকালীন পরিস্থিতি সামলে ওঠা এবং ঘুরে দাঁড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে যদি মাঠ পর্যায়ে সৃজনশীল বই বিক্রিতে হয়রানির শিকার হতে হয়, তাহলে প্রকাশনা শিল্পের আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।
বাজারে সৃজনশীল নামে মূলত নোট-গাইড বই বিক্রি হয়। যদিও গত কয়েকবছর ধরে প্রকাশকরা দাবি করে আসছেন সৃজনশীল বই আর নোট-গাইড আলাদা। শিক্ষক সমিতিগুলোর নেতারা এই প্রকাশকদের কাছ থেকে নোট-গাইড বইয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা চাঁদা নেন। আর এ জন্য প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে নতুন নতুন সমিতি ও কমিটি গঠন হয় নিজেদের মতো করো। কেন্দ্রীয়-বিভাগ-জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি হয়। সেই কমিটির ছবি ও সংবাদ পত্রিকা ও টিভিতে ফলাও করে প্রচার হয়।
প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকাশনা শিল্পকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যাবে, এখন সে উপায় প্রকাশকদের খুঁজে বের করতে হবে।
প্রকাশকদের দাবির প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখবো। সন্তানের শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পাঠে শিশুদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
পুস্তক প্রকাশকদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই অধিক পরিমাণে প্রকাশের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় এই সময়ের মধ্যে বই বিক্রি হতো প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার। সেখানে করোনার ৯ মাসে মাত্র ৭২০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে ৯ মাসে ৬ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার বই বিক্রি কমেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশনা সংস্থা টিকিয়ে রাখতে ৮০ শতাংশ জনবলকে বিনা বেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় বই বিক্রিতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেয় তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সমিতির প্রথম সহ-সভাপতি কায়সার ই আলম প্রধান, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।