কাজী আনোয়ার নন, আবদুল হাকিম লিখেছেন বেশিরভাগ ‘মাসুদ রানা’
সেবা প্রকাশনীর জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজ ‘মাসুদ রানা’র বেশিরভাগ বইয়ের লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন নন, বরং শেখ আবদুল হাকিম। রবিবার এ নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা মামলার রায় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
ধ্বংস পাহাড় দিয়ে মাসুদ রানা সিরিজের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এবং এই সিরিজের স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। মাসুদ রানা সিরিজের এ পর্যন্ত বই বেরিয়েছে ৪৬০টিরও বেশি। জনপ্রিয় এই সিরিজের প্রথম দিকের গুটিকয় বই ছাড়া বেশিরভাগ বইয়ের লেখক শেখ আবদুল হাকিম- এতদিন এই তথ্যটি জনশ্রুতি আকারে থাকলেও রোববার কপিরাইট অফিস এক রায়ে জানিয়েছে, মাসুদ রানার লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন নন, শেখ আবদুল হাকিম।
সেবা প্রকাশনীর অসম্ভব জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজটির প্রথম ১১টি বইয়ের পর ২৬০টি বইয়ের লেখক শেখ আব্দুল হাকিম।
যার ফলে শেখ আবদুল হাকিম দাবিকৃত মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে কপিরাইট সত্ত্ব পেতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী জানান, কাজী আনোয়ার হোসেন চাইলে এ রায়ের বিরুদ্ধের আবেদন করতে পারবেন। তা অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। এখানে তিনি হেরে গেলে, হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আবদুল হাকিম 'মাসুদ রানা' সিরিজের ২৬০টি এবং 'কুয়াশা' সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে মালিকানাস্বত্ব দাবি করে সেবা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় শেখ আবদুল হাকিম বলেন, 'আমিই মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বইয়ের লেখক। এ রায়ের মাধ্যমে তারই স্বীকৃতি এল। দীর্ঘ দিন মাসুদ রানা বিক্রিবাবদ আমাকে যে প্রচুর টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এখন সেই পাওনা টাকা আদায়ের লড়াই শুরু হলো।'
এ প্রসঙ্গে কাজী আনোয়ার হোসেনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।