গ্রন্থাগারের সেবাকে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গ্রন্থাগারের সেবাকে আমরা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। সেলক্ষ্যে দেশব্যাপী ১০০ উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আধুনিক মিলনায়তন, মাল্টিপারপাস হল, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের পাশাপাশি একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে লাইব্রেরি সেবাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ কাজে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেবা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও বইমুখী করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষব্যাপী সারাদেশে রোডমার্চ ও রোডশো’র আয়োজন করা হবে। তাছাড়া মুজিববর্ষে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৮০০ হতে ১০০০টিতে উন্নীত করা হবে। অধিকন্তু মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০০টি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন' শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। মোদ্দাকথা, সাধারণ মানুষকে গ্রন্থাগার ও বইমুখী করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় তার সবই করা হচ্ছে এবং হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল্যাহ হারুন পাশা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি আলী আকবর।