জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি করবে : প্রধানমন্ত্রী
- বাসস
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৫১ AM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৫১ AM
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং উপকারিতা বিষয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি করবে বলে আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং উপকারিতা বিষয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি করবে।’
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদানের যথাযথ সংরক্ষণে জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর অব্যাহতভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে বিনামূল্যে বই সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান করাসহ ব্যাপক কর্মকান্ডের অব্যাহত বাস্তবায়ন সাফল্যজনকভাবে এগিয়ে চলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জ্ঞানার্জন, গবেষণা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের জনসমষ্টিকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে গ্রন্থাগার খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এ অর্থবছরেই নির্মিত ৬টি জেলা গণগ্রন্থাগার ভবন ইতিমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের লক্ষ্যে শাহবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ পূর্ণোদ্যমে এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক পূর্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের নতুন ফেজ বর্তমান গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুনর্নির্মাণ, ৫০টি জেলার সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, সারাদেশের সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহে অনলাইন ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ ইত্যাদি প্রকল্পসমূহের অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পথে বলে তিনি বাণীতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান এবং জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।