‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। দ্বিতীয়বারের মতো এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিভূক্ত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’।
জাতীয় পর্যায়ের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে-বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভাগীয় ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহের আয়োজনে সকল জেলায় র্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বইপাঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানানো হয়। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদের সভায় ‘৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণা ছিল বাংলাদেশের গ্রন্থাগারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। ২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়। এবছর দ্বিতীয়বারের মতো এ দিবস পালিত হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হবে। এ দিবসটি দেশের গ্রন্থাগারের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বই পড়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে আরও সচেতন করবে বলে তিনি তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশীষ কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করা, পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, মননশীল সমাজ গঠনের কেন্দ্রবিন্দু ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গ্রন্থাগারের ভূমিকাকে দৃঢ় করাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের লক্ষ্য। জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলবার শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হবে।
আজ সকাল ৯টায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ র্যালির উদ্বোধন করবেন। র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, শহীদ মিনার, বাংলা একাডেমি হয়ে ফের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বরে এসে শেষ হবে।
বিকেল ৪টায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি। অলোচনা অনুষ্ঠানের মূল বক্তা থাকবেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশীষ কুমার সরকার।
এদিকে, জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভাগীয় ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহের আয়োজনে এদিন সকল জেলায় র্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বইপাঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সাথে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি, বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ/ইন্সটিটিউটের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন একাডেমিক লাইব্রেরির পেশাজীবী, ব্র্যাক, ব্রিটিশ কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে দিবসটি পালন করবে।