২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪০

ছোট বইমেলার উপযোগিতা বেশি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ  © টিডিসি ফটো

সরকার কিংবা বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বৃহত্তর বইমেলার পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে আরো বেশি বেশি ছোট আকারের বইমেলা হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এ রকম ছোট বইমেলায় পাঠক দীর্ঘ সময় নিয়ে বই দেখতে পারেন, পাঠকের সঙ্গে বইয়ের একটা অন্তরঙ্গ পরিচিতি ঘটে এবং বইকেন্দ্রিক একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়। স্বাধীনতার আগে আমাদের এখানে এ রকম ছোট ছোট বইমেলার মাধ্যমে একটি সাংস্কৃতিক ও মননশীল সমাজের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল। ফলে, ছোট বইমেলার উপযোগিতা অনেক বেশি।

শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হাসান, কালি ও কলম-এর সম্পাদক আবুল হাসনাত, জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আহরার আহমদ, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের বর্তমানের যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকট, তা থেকে উত্তরণের জন্য তরুণ প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি উৎসাহী করে তুলতে হবে।অধ্যাপক রাজ্জাকের মত বিদ্যানুরাগী ও গ্রন্থপ্রেমীর জীবন সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে।

জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই বইমেলা শুক্রবার থেকে রবিবার প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গনে চলবে। প্রথমা, ইউপিএল, অ্যাডর্ন, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশসহ দশটির বেশি প্রকাশনী এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় ক্রেতারা ২৫% ছাড়ে বই কিনতে পারবেন।

মেলায় বই দেখছেন অতিথিবৃন্দ 

 

উল্লেখ্য, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ অধ্যাপক রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া বিশেষায়িত লাইব্রেরি। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত সপ্তাহে সাতদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত লাইব্রেরি চালু থাকে। যে কেউ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরির সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারেন।