অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিজনেস ফ্যাকাল্টির ই-লাইব্রেরি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (বিজনেস ফ্যাকাল্টি) অভ্যন্তরে অবস্থিত ইলেকট্রনিক লাইব্রেরি (ই-লাইব্রেরি)। ফলে অনুষদটির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ওই লাইব্রেরি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বন্ধ হওয়ার এক বছরেও চালু করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থী।
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিবিএ ভবনের ৩ তলায় ই-লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে অনুষদটির শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে আসছিলেন লাইব্রেরিটি। অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ই-বুক সুবিধাসহ নানা ধরনের সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা দিনের অধিকাংশ সময় পার করতো লাইব্রেরিতেই।
জানা যায়, গত বছরের আগস্টে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ই-লাইব্রেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ার কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হলেও ভবনটিতে শুধু ই-লাইব্রেরিটাই বন্ধ করা হয়েছে। বাকি সব প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিবিএ প্রশাসনিক ভবনটি নিচ তলায় রয়েছে ডিন অফিস ও প্রশাসনিক অফিসগুলো, ২য় তলায় রয়েছে কয়েকটি বিভাগের অফিস। সেগুলো সব চলমান থাকলেও ৩য় তলায় ই-লাইব্রেরিতে পড়েছে তালা। পাওয়া যায়নি সেখানকার লাইব্রেরিয়ানকেও।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুজ্জামান বলেন, এক বছর হয়ে গেল বন্ধ হয়েছে লাইব্রেরিটি এখনও কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নাই। আমাদেরকে এমবিএ বিল্ডিংয়ের ৯ তলায় পড়তে বলা হয়েছে যেখানে পড়ার পরিবেশ নাই। পরীক্ষার সময় ঢুকতে দেওয়া হয় না। এমতাবস্থায় আমরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছি না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই লাইব্রেরি ঠিক করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন বলেন, আমার জানা মতে সংস্কারের জন্য ই-লাইব্রেরি সাময়িকের জন্য বন্ধ করা হয়। এক বছর হয়ে গেছে কিন্তু সংস্কারের কাজ কতটুকু হয়েছে আমার জানা নেই। অনুষদ থেকে এই ব্যাপারে কিছু বলেও না শিক্ষার্থীদেরকে। এখন আমাদের চাওয়া একটাই যে ই-লাইব্রেরি যত দ্রুত সম্ভব আবার শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হোক।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান জিলানী বলেন, অনুষদ থেকে শুধু বলছে যে লাইব্রেরির কাজ চলছে। কবে কাজ শেষ হবে আর কবে খুলবে সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৯টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করতো। দীর্ঘ একটা বছর আমাদের পড়ার কোনো জায়গা নেই। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে দৌড়াতে হয়। আমরা চাই এটি দ্রুত আমাদের জন্য খুলে দেয়া হোক।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ই-লাইব্রেরি সাময়িক বন্ধ রেখেছি। এটির কাজ চলছে।
কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব চালু করে দেয়া হবে।