বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে: জাফর ইকবাল
- টিডিসি রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০১৮, ০১:০২ PM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৮, ০১:১১ PM
স্বনামধন্য লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, বই পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠে যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। তাই কিশোর- কিশোরীদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বৃহষ্পতিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘একুশ শতকের দক্ষতা অর্জনে কিশোর বাতায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা এতে অংশ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের ই-লার্নিং স্পেশালিস্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, এটুআই প্রোগ্রামের এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইউএনএফপিএ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ স্কাউট, ইউনেস্কো, চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি, অন্যরকম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের জন্য দক্ষ করে তোলার একটি মাধ্যম কিশোর বাতায়ন। কিশোর বাতায়নে রয়েছে কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী বই, চলচ্চিত্র, কমিকস, মাথা খাটাও, হাতে-কলমে বিজ্ঞানের পরীক্ষা ও খবরদারের মতো নানা আকর্ষণীয় সেকশন। কিশোর বাতায়ন হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম। এ বাতায়ন শিক্ষার্থীদের সামনে সৃজনী ভাবনার ক্ষেত্রে একটি নতুন জগত উন্মোচন করবে। সময়ের সদ্ব্যবহার করে আনন্দের সঙ্গে শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাবে একটি ভার্চুয়াল শিখন জগত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম ‘আমার জেলা, আমার অহংকার’ প্রতিযোগিতা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে ‘বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে, বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে’ বইপড়া কর্মসূচি ও ‘কৈশোরে বঙ্গবন্ধু, আমার কৈশোর, আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এটুআই প্রোগ্রাম ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার হিসেবে বই ও অন্যরকম বিজ্ঞান বক্সের উপহারসমগ্রী তুলে দেয়া হয়।