নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারকারীদের ফেসবুকে জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কিছু কোচিং ব্যবসায়ী, নোট বই ও গাইড বই ব্যবসায়ী অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে আর প্রাইভেট কোচিং বা নোট বই, গাইড বই এর দরকার হবে না। তাই তারা অভিভাবকদের মাঝে নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অপপ্রচারে যুক্ত হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত ও বামরাও।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কিভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সেখানে তার উদাহরণও তুলে ধরা হয়।
স্ট্যাটাসে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অনেক অপপ্রচারের মধ্যে একটি বড় অপপ্রচার হলো “নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞানের গুরুত্ব কমে গিয়েছে” এবং এরকমই আরও কিছু অসার কথা। দয়া করে সবাইকে নীচের তথ্যগুলো (স্ট্যাটাসে সংযুক্ত ছবিতে) একটু পড়ে দেখতে অনুরোধ করবো।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। প্রিয় সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা ২০৪১ এ তরুণ হবে, তাদেরকে হতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক। তাদেরকে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি-নির্ভর অভাবনীয় দ্রুত পরিবর্তনশীল এক বিশ্বে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়ে চলতে শিখতে হবে। প্রতিনিয়ত নিজের দক্ষতা, যোগ্যতাকে দ্রুত পরিবর্তিত কর্ম ও জীবন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য যে মৌলিক কিছু দক্ষতা তার অবশ্যই প্রয়োজন হবে, নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের সে দক্ষতাগুলোকে যেমন রপ্ত করে তাদের জীবন চর্চার অংশ করে দেবে তেমনি তাদের সততা, মানবিকতা, সহমর্মিতা, অসাম্প্রদায়িকতা, পরমতসহিষ্ণুতা, সৃজনশীলতার চর্চার মধ্য দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম তাদেরকে গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সোনার মানুষ হিসেবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন যে কোন কিছুকেই মেনে নিতে অনেকের কষ্ট হয়। আর রূপান্তর যেখানে ঘটেছে, সেখানে খাপ খাইয়ে নিতে অভিভাবকদের হয়তো একটু সময় লাগতে পারে। শিক্ষার্থীরা খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং আনন্দের সাথে করে করে শিখছে। শিক্ষকরাও খাপ খাইয়ে নিয়ে উৎসাহের সাথে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
“কাজেই আসুন, কোন বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে কান না দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শরিক হই। আমাদের সন্তানদের সুস্থ, সবল, আত্মপ্রত্যয়ী, দক্ষ, যোগ্য, মানবিক, সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি আমরা অভিভাবকরাও একযোগে কাজ করি।”