ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেই দেশ শ্রীলংকা হয়নি
ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশ ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে শ্রীলংকার মতো অবস্থা হতো। বঙ্গবন্ধু কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই দেশ যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুও ততোদিন অমর থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে স্মরণে এক আলোচোনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।
উপাচার্য বলেন, কৃষির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন করছে। যার ফলে দেশে কৃষি শিক্ষর যেমন প্রসার হবে তেমনি উন্নত হবে দেশের কৃষি ব্যবস্থার। তবে এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্যাম্পাস র্যাগিং মুক্ত করা এবং শিক্ষার সঠিক পরিবেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: ভেটেরিনারিতে দেশসেরা বাকৃবি
আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। শহীদ নাজমুল আহসান হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনির্বান সরকার মানবের সঞ্চালনায় এবং হল ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শাকিল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন, হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আলমগীর এবং ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ তারিকুল ইসলাম খান লিমন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হায়দার এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কৃষিবিদ খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ।
এ সময়, ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফুর রিয়াদ বলেন, আগস্ট মাস শুধু শোকের মাস নয় এই মাসে পরাজিত শক্তির কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। স্বপরিবাওে এমন হত্যার মিশন পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও নেই। বাকৃবিকে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাবে।