ভেড়ার মাংসে মিলবে অধিক এন্টিঅক্সিডেন্ট, কমবে চর্বি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটি জৈব উপাদান যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এমনকি এটি মানবশরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। এবার ভেড়ার মাংসে এই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধকরণে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুন।
রবিবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘অধিক এন্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ভেড়ার মাংস’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান গবেষক ড. আল মামুন। ভেড়ার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মাংসের গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা করে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুন জানান, ভেড়ার খাবারে অধিক এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্লানটেইন ঘাস ও রসুনের পাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে এ ফলাফল পেয়েছেন তিনি। এ দুটি ঘাস ব্যবহার করার ফলে ভেড়ার মাংসে ৩০ শতাংশ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও গবেষণার ফলে ভেড়ার ২০ থেকে ২৬ শতাংশ শারীরিক বৃদ্ধি ও ৫ থেকে ৭ শতাংশ মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এর ফলে ভেড়ার শরীরের অভ্যন্তরীণ চর্বি ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। এই ঘাসসমূহ ব্যবহারে ভেড়ার মল থেকে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ কম মিথেন নির্গত হয় যা পরিবেশ দূষণকে নিয়ন্ত্রন করবে।
তিনি আরও জানান, ভেড়ার ডায়েটে ঔষুধিগুণ সম্পন্ন প্লানটেইন ঘাস ও রসুনের পাতার ব্যবহার করার ফলে এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাংসের গুনগত মানও উন্নত করেছে।পাশাপাশি ঔষুধি ঘাসের উপাদান মাংসের স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন এনেছে। প্লানটেইন ও রসুন পাতায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ভেড়ার বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মাংসের গুনগত মানের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
কর্মশালায় পশুপুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রাখী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।