লিখিত অভিযোগ বাকৃবির আহত সাংবাদিকের, বিচার দাবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা ভিডিও করতে গিয়ে ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন আব্দুল্লাহ ওমর আসিফ নামের এক ক্যাম্পাস সাংবাদিক। ওই ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এসময় বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, আমি এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিও করায় বাকৃবিতে সাংবাদিককে মারধর
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত ২৮ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সামনে রাস্তা অবরোধ ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের এক পক্ষ। সাংবাদিক হিসেবে সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করার সময় শামসুল হক হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন সুমনসহ আরো কয়েকজন তার উপর হামলা করে।
তারা তাকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর, কিল ঘুষি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানায় আহত সাংবাদিক ওমর আসিফ।
এর আগে গত শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা কয়েকজন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
ওইদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) ছাত্রলীগের অন্য পক্ষ সড়ক অবরোধ করে ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের ঘটনা ভিডিও করতে গিয়ে ছাত্রলীগকর্মীদের হামলায় আহত হন সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ওমর আসিফ।
এ বিষয়ে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এই ঘটনায় মর্মাহত ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দেন দেন তিনি।