কৃষি গুচ্ছে আবেদনকারীদের টাকা ফেরত আগামী সপ্তাহে
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক আবেদন থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা আগামী সপ্তাহে আবেদনের ৭০০ টাকা ফেরত পাবেন। ইতোমধ্যে নগদ ও রকেট ব্যবহারকারীরা তাদের টাকা ফেরত পেয়েছেন। বিকাশের গ্রাহকরা আগামী সপ্তাহে টাকা ফেরত পাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি আবেদনের সময় যারা রকেট এবং নগদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন তারা ইতোমধ্যে টাকা ফেরত পেয়েছেন। তবে যারা টাকা ফেরতের ঘরে বিকাশ নম্বর দিয়েছেন তারা এখনো টাকা ফেরত পাননি।
সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ নম্বর দেয়া অনেক শিক্ষার্থী ১০ ডিজিটের নম্বর দিয়েছেন। আবার অনেকে ১১ ডিজিটের জায়গায় ১২ ডিজিট দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো সমাধান করতেই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করে টাকা ফেরত দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া শুরু হয়েছে। যারা এখনো টাকা ফেরত পায়নি আশা করছি আগামী সপ্তাহে তারা টাকা ফেরত পাবেন।
তথ্যমতে, এ বছর কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৪৬ জন। ফলে টাকা ফেরত পাচ্ছেন ৪১ হাজার ৬৯৩ জন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর সাতটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এ পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৬৮.৬৫ শতাংশ। চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৪ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ১২ হাজার ৫০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ১৮২, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৩৬৪, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৩০০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন।