শেকৃবির ক্যান্টিনে দ্বিগুণ দাম খাবারের, ৫টাকার পরোটা এখন ১০টাকা
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধের পর গত ১ অক্টোবর খুলেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেই লাগামহীনভাবে খাবারের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আবাসিক হলের ক্যান্টিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট মিনি বাজারের রেস্টুরেন্টগুলোতে ইচ্ছেমতো খাবারের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট ও মিনি বাজারের রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রতিটি পরোটার দাম পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। সবজির দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫-২০ টাকা। ডিম ভাজি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, দুই টুকরা মুরগির মাংস ৬০-৭০ টাকা, ছোট চার টুকরা গরুর মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। প্রতিটি সমুচা, শিঙাড়া, চপ ও পেঁয়াজির দাম না বাড়লেও সেগুলোর আকার ছোট হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রেস্টুরেন্ট মালিকেরা বলছেন, সব ধরনের উপকরণের দাম বেড়েছে। সঙ্গে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাস ও কাঠ চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে খাবারের দাম বাড়াতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, সব ধরনের খাবারের দামই বাড়তি। দোকানদাররা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
এদিকে শেকৃবির আবাসিক পাঁচটি হলের ক্যানটিনেও খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যান্টিনগুলোতে আগে ভাতসহ এক টুকরা মুরগির মাংসের দাম ছিল ৪০ টাকা এখন তা ৪৫ টাকা, ৩৫ টাকার মাছ ৪০ টাকা, ডিম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা, দুই টুকরা গরুর মাংস ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, সবাই এখন আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে। এর মধ্যে ক্যানটিনে সব খাবারের দামই বাড়তি; মানও কমে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, ক্যানটিনের খাবারের দাম ও মান পর্যবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টদের কথা বলব। ক্যানটিনগুলোর নির্দিষ্ট মূল্য তালিকা তৈরি দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট ও মিনি বাজারের রেষ্টুরেন্টগুলোর খাবারের মূল্য তালিকা করার চেষ্টা করা হবে।