বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় সিকৃবির ২১ শিক্ষক
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ২১ জন শিক্ষক। অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে তাদের নাম প্রকাশিত হয়।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, তালিকায় বিশ্বের ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন গবেষক ঠাঁই পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের এক হাজার ৭৯১ জন রয়েছেন। র্যাকিংয়ে ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাকিং প্রকাশ করা হয়।
এই তালিকায় ওয়ার্ল্ড র্যাকিং অনুযায়ী শীর্ষে স্থান পেয়েছেন সিকৃবির প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, মাৎস্যচাষ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসাইন, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম,মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ, মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল।
সেরাদের তালিকায় রয়েছেন কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্র কান্ত দাশ, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাশির উদ্দিন, জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ড, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান, ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুন্নবী আকন্দ, সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, কৃষিতত্ত্ব ও হাওর কৃষি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা, সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা লাকি, জৈব রসায়ন ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও বীজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মাহফুজুল হক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক, ফার্মাসিউটিকাল এবং শিল্প জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমন পাল, মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার গবেষকদের সাফলতাকে সাধুবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৩টি মূল কাজ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি গবেষণা ও সম্প্রসারণের কাজ।
তিনি বলেন, সিকৃবি শিক্ষকরা নিয়মিতই গবেষণার কাজ করে আসছেন। ইদানিং শিক্ষকরা আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পড়াশুনা করে এসেছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের স্থান করে নিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উন্নত ও আধুনিক গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।’