শেকৃবির দুই অনুষদে নতুন ডিন

ড.পরিমল কান্তি বিশ্বাস এবং ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন
ড.পরিমল কান্তি বিশ্বাস এবং ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন  © ফাইল ছবি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) দুই অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। কৃষি অনুষদের ১৩তম ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস এবং ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ৩য় ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস ১৯৫৮ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে কৃষিতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ২০০১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি শেকৃবির পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আমিষ সমৃদ্ধ সুপারফুড কিনোয়ার একটি জাত আবিষ্কার করেন যা 'এসএইউ কিনোয়া-১' নামে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ড কতৃক অনুমোদিত হয়েছে। পেরিলা গবেষণায় ১জন পিএইচডি ছাত্রের সুপারভাইজরি কমিটিতে যুক্ত আছেন। 

অধ্যাপক ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন ১৯৭৮ সালে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেলিয়াই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে ফিশারিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ২০০৬ সালে অ্যাকোয়াকালচার টেকনোলজিতে গোল্ড মেডেলসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের মিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে গবেষণায় অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। তিনি বাংলাদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের বায়োফ্লক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃতিত্ব ও প্রশংসা অর্জন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ