টিকার অনিশ্চয়তায় শেকৃবির ২ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী
কোভিড-১৯ টিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে এ বছরের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে ৪৬৭৭ জন আবাসিক শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) প্রশাসন।
যার মধ্যে ২৮৮০ জন শিক্ষার্থীর (এনআইডি নম্বরসহ) এবং ১৭৯৭ জন শিক্ষার্থীর (এনআইডি নম্বর ছাড়া) যাবতীয় সকল তথ্য রয়েছে। তবে এনআইডি নম্বর ছাড়া টিকার জন্য নিবন্ধন করতে না পারায় শেকৃবির প্রায় ২ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
জানা যায়, গত ৭ মার্চ প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মেয়াদ শেষ হয় ১০ই মার্চ। যেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮৮০ জন শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় এবং কিছু শিক্ষার্থীর এনআইডি সম্পর্কিত জটিলতা থাকায় তাদের এনআইডি নম্বর ছাড়াই অন্যান্য তথ্য ইউজিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়।
তবে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এনআইডি নম্বর ছাড়া শিক্ষার্থীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না। ফলে টিকার জন্য নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এনআইডি না থাকা শিক্ষার্থীরা জটিলতায় পড়েছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র আছে শুধুমাত্র তারাই নিবন্ধন ও টিকা নিতে পারবেন। তাহলে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তারা কীভাবে টিকা নেবে? সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এনআইডি নম্বরের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করার দাবি জানান।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ইউজিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করছি। আশা করছি অতি শীঘ্রই বিকল্প কোন সমাধান বের হয়ে আসবে।