মতবিরোধে বাকৃবির আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা, ফোরামের কমিটি মানছেন না একাংশ

  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ১৪২৮ বঙ্গাব্দের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সদ্য সাবেক নেতারা আজ শনিবার সকালে এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে ফোরামের ১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক বছরে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি মহল নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের কমিটিতে নিজেদের ইচ্ছামত অগণতান্ত্রিক উপায়ে সদস্য মনোনীত করছেন। এর ফলে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে একইসঙ্গে সংগঠনের গঠনতন্ত্রকে অমান্য করা হচ্ছে।

অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম আরও বলেন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য গত ২০ মার্চ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিষয় নির্বাচনী কমিটি প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৩ এপ্রিল সাধারণ সভায় প্রস্তাবিত কমিটি উপস্থাপিত হলে তা সাধারণ সদস্যদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচনা সত্ত্বেও সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বিষয় নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম এ সালামকে দিয়ে একটি প্রশ্নবিদ্ধ কমিটি ঘোষণা করান। এ সময় সভাপতি কথা বলতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক কথা বলার সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি আরও বলেন, নতুন বিষয় কমিটি করে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের গঠনতন্ত্র মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হবে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, সভাপতিকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি এমনটি সত্য নয়। উনি (সভাপতি) আসলে সভার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। কিছু শিক্ষক অসৌজন্যমূক আচরণ ও হট্টোগোল শুরু করে দিলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। পরে সিনিয়র শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ও নিদিষ্ট সময়ে সভা শেষ করার জন্য ওই পরিস্থিতিতে গঠনতন্ত্র মেনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সভাপতিত্বে সভা পরিচালিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ