শেকৃবির ভেটেরিনারি ক্লিনিকের

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

অর্থ বরাদ্দের ছয় বছর পরও এখনো শুরুই হয়নি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণের কাজ।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রাণিসম্পদ সেবায় তত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। অর্থ বারাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালে প্রকল্পটির জন্য বাজেট পাশ হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও শুরুই হয়নি নির্মাণ কাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১২ সালে এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পার হলেও নির্মাণ হয়নি ভেটেরিনারি ক্লিনিক। অনুষদটি থেকে ইতোমধ্যে ৪টি ব্যাচ স্নাতক শেষ করেছেন এবং ৫টি ব্যাচ স্নাতক পর্যায়ে বিভিন্ন লেভেলে পড়াশোনা করছেন। পাঁচ বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্সের তৃতীয় বর্ষ থেকেই সার্জারি ও মেডিসিন বিষয়ক কোর্স শুরু হয়। এসব কোর্সের সাথে ব্যবহারিক শিক্ষা খুবই জরুরী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি ক্লিনিক না থাকায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের উদাসীনতায় ভেটেরিনারি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে না বলে দাবি করছেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি ইন্টার্ন শেষ করা শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের পাশে নামমাত্র একটি অস্থায়ী ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বর্ধিতাংশের কাজের স্বার্থে অস্থায়ী ক্লিনিকটি ভেঙে ফেলায় সেটির কার্যক্রমও বন্ধ। ফলে শিক্ষার্থীরা তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্লিনিক না থাকায় ইন্টার্নিশিপের সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জটিলতায় ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। ৩ তলা বিশিষ্ট ক্লিনিকটি ৪৯০ বর্গমিটারের হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি এখন ১৫০০ বর্গমিটার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে বাজেট ১কোটি ৪৫লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৫কোটি করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে ক্লিনিকের টেন্ডার সম্পন্ন হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমরা কাজের অনুমতি দিতে পারি নি। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।


সর্বশেষ সংবাদ