কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করবে শেকৃবি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সাথে কোরিয়ার চুংবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব মেডিসিনের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অন্তর্গত প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনস্থ এএসভিএম সেমিনার গ্যালারিতে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. উদয় কুমার মহন্ত এবং কোরিয়ার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোরিয়ার প্যারাসাইট রিসার্চ সেন্টার ও প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের পরিচালক প্রফেসর ক্যাসিওন এস. ইয়ম।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিনের অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. অলক কুমার পাল, কোরিয়ার চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব মেডিসিনের প্রফেসর ড. ডংমিন লি, চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের ড. হ্যানসল পার্ক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হলো। এতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে। এ স্বারক স্বাক্ষর করায় তিনি কোরিয়ার চুংবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব মেডিসিনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সমঝোতা স্মারক অনেক স্বাক্ষরিত হয় কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে তা কোন কাজে আসে না। তিনি আশা ব্যক্ত করেন , এ সমঝোতা সত্যিকার অর্থেই বাস্তবে প্রতিফলিত হবে, যার মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক,গবেষক সহ সবাই উপকৃত হবে।
কোরিয়ার চিম্বুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব মেডিসিনের প্রফেসর ড. ডংমিন লি বলেন, প্যারাসাইট বা পরজীবি শুধুমাত্র মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির ক্ষতিই করে না বরং মানুষের কল্যানেও কাজ করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পরজীবি থেকে মানুষের নানাবিধ ঔষধ তৈরির কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু পরজীবি ব্যবহার করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরজীবিঘটিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির কাজ সফল হয়েছে।
মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. উদয় কুমার মহন্ত বলেন, মানুষের বিভিন্ন রোগের ৭০ শতাংশ রোগ আসে বিভিন্ন পশু ও পাখি থেকে। আর আমাদের বিভাগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাবলিক হেলথ ও প্যারাসাাইটিক জুনোসিস নিয়ে কাজ করে আসছে। এই স্মারক বাস্তবায়ন হলে এদেশের মানুষ ও পশুপাখির বিভিন্ন পরজীবীঘটিত রোগ নিয়ন্ত্রণে জোড়ালো ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।