২২ পদে ২৯ জনকে নিয়োগ, ৪৫ শিক্ষকের স্মারকলিপি
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে স্মারকলিপি দিয়েছে ৪৫ জন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২২ পদের বিপরীতে ২৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট পদের অতিরিক্ত সাতজনের নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যরা কিছুই জানেন না। ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। অধিকাংশ সদস্যের আপত্তি উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, এসব বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কথা বলার চেষ্টা করলে সদস্যদের মাইক্রোফোন মিউট (শব্দহীন করা) করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতরে গিয়ে তাকে পাননি পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এসব বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে কথা বলার জন্য গত সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতিকুজ্জামান বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের পরিপন্থি মনে হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়গুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসব বিষয়ে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে তার পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। আমাদের নির্ধারিত সময়ও অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি ও করণীয় ঠিক করব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হতে দেব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনিয়ম রুখে দেয়া হবে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি বিভাগে সাতটি প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিকৃবি। এরপর ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ১৫টি বিভাগে ১৫টি প্রভাষক পদ, চারটি বিভাগে চারটি প্রফেসর পদ ও একটি বিভাগে একটি সহযোগী প্রফেসর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
দুই বিজ্ঞপ্তিতে ২২টি পদে নিয়োগের কথা থাকলেও সিকৃবি কর্তৃপক্ষ অ্যানাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগে একজনের জায়গায় দুইজন, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে একজনের জায়গায় তিনজন, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগে একজনের জায়গায় দুইজন, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগে একজনের জায়গায় তিনজন, এগ্রিকালচারাল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দুইজনের জায়গায় তিনজন, কৃষি বিপণন ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগে একজনের জায়গায় দুইজন, একোয়াকালচার বিভাগে একজনের জায়গায় দুইজন নিয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সিকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার ব্যক্তিগত সহকারী ফখর উদ্দিন জানান, উপাচার্য জরুরি কাজে ঢাকায় আছেন। এছাড়া তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।