রুটিন দায়িত্বে ভিসি, অনিশ্চয়তায় শেকৃবির দেড় হাজার শিক্ষার্থী
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২০, ০৫:১৫ PM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৩৩ PM
গত দুই মাস ধরে ডিন নেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদে। অন্যদিকে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের পক্ষে একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আটকে আছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। হচ্ছে না নিয়মিত ক্লাস নেয়া।
এদিকে শিক্ষা কার্যক্রমে এমন স্থবিরতায় সেশনজটের আশঙ্কা রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কবে উপাচার্য আসবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গতিশীলতা আসবে— তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দেড় হাজার শিক্ষার্থী।
জানা যায়, অনুষদের প্রধান নির্বাহী ‘ডিন’ ছাড়া স্থবির হয়ে পড়েছে অনুষদের কার্যক্রম। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম ২ বছর মেয়াদে কৃষি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, যার মেয়াদ চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।
এদিকে নিয়মিত উপাচার্য (ভিসি) ছাড়া কীভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়া হবে কিংবা ডিন ছাড়া কীভাবে শিক্ষা অব্যবস্থাপনার নিরসন হবে- এ নিয়ে অনিশ্চয়তায় অন্তত দেড়হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
খোঁ নিয়ে জানা যায়, অনুষদটির লেভেল-১; সেমিস্টার-১ এর অনলাইন ক্লাস জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত হয়েছিল। এরপর হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারণে দুইমাস ক্লাস হচ্ছে না। অন্য অনুষদে উক্ত সেমিস্টার শেষ করে যখন পরবর্তী সেমিস্টারও শেষ পর্যায়ে সেখানে কিছু ক্লাস বাকি রেখে অনর্থক কেন এতদিন বসিয়ে রাখা এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তবে অফিসে ফোন দিলে ডিন নাই, ভিসি নাই এমন নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য তাদের।
বেহাল অবস্থা লেভেল-২; সেমিস্টার-২ তেও। লেভেল-২; সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, শুরুর দিকে ভালই ক্লাস হতো। তবে বর্তমানে অবস্থা খুব একটা ভালো না। এখন দিনে ক্লাস হয় ১-২ টা। তিনি বলেন, করোনাকালে সেশনজট নিরসনের উদ্দেশে যদি অনলাইন ক্লাস হয়, তবে এতে লাভ কি?
লেভেল ৪ এর শিক্ষার্থী নুসরাত বলেন, অনলাইনে ৪-২ অর্ধেক শেষ প্রায়, অথচ ৪-১ এর ফাইনাল পরীক্ষার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেই। ঝুলে আছি মাঝামাঝি।
এমতাবস্থায় অনিশ্চয়তায় উক্ত অনুষদের শিক্ষার্থীর একাডেমিক ভবিষ্যৎ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি শেখ রেজাউল করিম বলেন, নিয়মিত ভিসি না থাকায় ডিন নিয়োগে আমার হাত নেই। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসনে ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যানদের সাথে বসতে চাইলেও আমার ধারণা আলোচনা ফলপ্রসু হবে না।