খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ৫৩ বিভাগে পড়তে পারবে ৫ হাজার শিক্ষার্থী

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়  © সংগৃহীত

২০১৫ সালের ৫ জুলাই জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় বিলটি পাস হয়। দেশের পঞ্চম পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাড়া করা ভবন আর অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৩০ জন শিক্ষক যোগদান করেছেন। এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান ও অর্গানোগ্রাম অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের এই প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই এই অঞ্চলে আলো ছড়াতে চলেছে।

তথ্যমতে, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার ৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (ডিপিপি) তৈরিসহ প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ করা হচ্ছে। এই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ৩ হাজার ১৬৮ জনবল সম্বলিত একটি অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) জমা দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অনুষদে ৫৩টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং বছরে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করণের জন্য বিভিন্ন নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান বলেন, গত দুই বছরে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিশিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় সংবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ