বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একটি সয়াবিন জাত উদ্ভাবন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সয়াবিন জাত অনুমোদন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানান, গত ১০ অগাস্ট বিইউ সয়াবিন-২ নামে এই জাতটির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিড বোর্ড। ২০০৫ সাল থেকেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়াবিন নিয়ে গবেষণা করছেন বলে জানান তিনি।
এই জাতটি উদ্ভাবন দলের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল করিম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে, নোয়াখালীর কমলনগর ও সুবর্ণচর উপজেলা, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের চর এলাকা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় চাষ করে এর উপযোগিতা যাচাই করা হয়েছে। গড় ফলন পাওয়া গেছে প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৫ মেট্রিকটন। তবে গোবিন্দগঞ্জ ও কমলনগরে এর ফলন হয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭ মেট্রিকটন ও ৪ দশমিক ৪ মেট্রিকটন, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ এবং বিশ্বেরর সবচেয়ে বেশি ফলনশীল জাতের সঙ্গে তুলনীয়।
তিনি আরও বলেন, এ জাতটি উচ্চফলনের পাশাপাশি খরা, জলাবদ্ধতা ও ঝড়ো হাওয়ায় টিকে থাকতে পারে। এর বীজে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। রবি মৌসুমে এর জীবনকাল ১০০ দিন। খরিফ-২ মৌসুমে ৯০ দিনেই পরিপক্ব হয়।
অধ্যাপক আব্দুল করিম জানান, বাংলাদেশে এখনও পশু ও মাছের খাদ্য হিসেবেই সয়াবিন ব্যবহৃত হয়। তবে ইদানী বিভিন্ন স্ন্যাক্স, সয়ামিট বল ও সয়ামিল্ক হিসেবে এর ব্যবহার বাড়ছে। বিভিন্ন চর এলাকার মানুষ সয়াবিনের খিঁচুড়ি রান্না করে।
তিনি আরও জানান, সয়াবিনে প্রোটিন বা আমিষের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৫৫ শতাংশ যা অন্য যেকোনো ফসল, যেমন ডাল, তেল কিংবা দানাদার শষ্যের চেয়ে বেশি। সয়াবিনে ১৮-২০ শতাংশ তেল, বিভিন্ন ভিটামিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খানিজ পদার্থ থাকে।