খাদ্য সুরক্ষার বিষয়ে দুই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোর্স চালু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২০, ০৪:৩৬ PM , আপডেট: ৩০ জুন ২০২০, ০৪:৩৬ PM
দেশে খাদ্য নিরাপত্তাকে আরও বেগবান এবং কর্মোদ্যমকে জাগ্রত করার প্রয়াসে দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবারের মত খাদ্য সুরক্ষায় বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হতে যাচ্ছে। নেদারল্যান্ডভিত্তিক দাতব্য সংস্থা নাফিকের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রকল্প আওতায় রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হতে যাচ্ছে এ কোর্স।
নতুন এই প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের বৃত্তিমূলক ও প্রশিক্ষণ ভিত্তিক শর্ট কোর্স চালু করা হবে। এছাড়া প্রকল্পটির আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করা হবে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়।
ভার্চুয়াল উদ্বােধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের এম্বাসেডর হেরি ভারওয়েজি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হারুনুর রশিদ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ এবং নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ম্যারিয়েন ভেন ডর্প ও মনিকা সোপভ। প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমরা খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণ হয়েছি এখন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সমাধানে কৃষির উৎপাদনে জ্ঞান, দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি উপকরণের যোগান বাড়াতে হবে। কাজ করতে হবে বাজারজতকারণ ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নতিতে। কৃষকদের কাছে সঠিক তথ্য নিয়ে যেতে হবে। সব মিলিয়ে কাজ করতে হবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব এবং একই সাথে আমাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় এ প্রকল্পটি একটি নতুন ধার উন্মোচন করবে।