লকডাউনে ব্যতিক্রমী বাগান করল শেকৃবি শিক্ষার্থী
- তানভীর আহম্মেদ
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২০, ০৩:৩৮ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০২০, ০৪:১১ PM
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি জীবনযাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে লকডাউনের অফুরন্ত অবসর সময় অলস বসে না থেকে কেউ কেউ আছেন যারা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তাদেরই একজন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ শাহরিয়ার।
মোস্তকিম শেকৃবি কৃষি বিভাগের ৭৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ১ম বর্ষ অধ্যয়নরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। সেখানেই তার নিজ বাড়িতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এ সময় তিনি চাষাবাদের মাধ্যমে পার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ চাষাবাদের মাধ্যমে তার পরিবার নির্ভেজাল খাবার পাবে।
চলতি বছরের গত ১৯ মার্চ নিজের টিউশনির জমানো টাকা ও বাবা-মায়ের থেকে দেওয়া অর্থে তার গ্রামের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত জমিতে এই কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। তার চাষকৃত জমিতে ৫০টি মালভোগ কলা, ১৬০টি সুপারি গাছ, ২টি বেদানা গাছ, ২টি সেগুন গাছ লাগিয়েছেন। এছাড়া ২৫০টি মরিচ, ১২০টি বেগুন গাছসহ প্রচুর বরবটি, লালশাক, পুই শাক, কলমি শাক, শসা, ধনে পাতা ইত্যাদি গাছের চারাও রোপন করেছেন তিনি।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ সম্পর্কে শাহরিয়ার জানান, তার এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ঘরে থেকেই যেমন নির্ভেজাল ও পুষ্টিকর খাবার পাবে তেমনিভাবে প্রতিবেশীরাও উপকৃত হতে পারবে। দেশের এই খারাপ সময়ে এই ধরনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরো কিছু বনজ ও ভেষজ উদ্ভিদ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলার জন্য আরো এক খন্ড জমি প্রস্তুতি চলছে। বেশ বড় পরিসরে বনায়ন করতে চাই। গ্রামের সাধারণ লোকদের সচেতন করতে চাই যেন তারা সম্পদ সামান্য হলেও সেখান থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট পায়। আর সেটা যখন সবাই মিলে করবে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবেই।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে অনুপ্রাণিত হয়েছেন মোস্তাকিম। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে। আমাদের যেহেতু সম্পদ কম তাই যতটুকু আছে সেটার ভালভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’