বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে। দোসরা নভেম্বর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরুর পর থেকেই দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিন ঊনিশতম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তীতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম । পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়' শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সিকৃবি দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।‘
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা প্রয়োজন।‘
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন- নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম।
সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালের ২রা নভেম্বর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আলোকসজ্জা মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। এছাড়াও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।