শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে রঙিন বেলুন ও শান্তির প্রতীক সাদা কবুতর উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা কৃষাণ-কৃষাণী, জেলে-জেলেনী ও পশু চিকিৎসক সেজে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলেন, যা পুরো ক্যাম্পাসকে উৎসবমুখর করে তোলে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম শামসুজ্জামান, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবিব, ডিন পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অধ্যাপক ড. এম. সালাহউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ছরোয়ার হোসেন, অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম রুহুল আমিন, আইসিটির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জামিলুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহা. আশাবুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী।
দিনব্যাপী আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা একাত্মতার বন্ধনে আবদ্ধ হন। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল লতিফ র্যালিতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা দিয়ে বলেন, ১৯৩৮ সালে ‘বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট (বিএআই)’ নামে যাত্রা শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানটির। অগ্রযাত্রার সেই সময় থেকে কৃষি ক্ষেত্রে অন্যন্যা সব অবদান রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।তবে প্রারম্ভিক এই নামের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন ঘটে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানকালীন শুরুতে বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনিস্টিউট নাম থাকলেও পরে পরিবর্তিত হয়ে পুনঃনামকরণ করা হয় ‘ইস্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল ইনিস্টিউটে।পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পরে নতুন নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনিস্টিটিউট এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘Sher-e-Bangla Agricultural University Act’ পাস হয়। যার মধ্যে দিয়ে ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনিস্টিটিউট’ পরিণত হয় ‘শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি)’।