১৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৪

বাকৃবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত, দ্রুত বিচার সম্পন্নের দাবি

জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে শোকর‍্যালি বের করা হয়  © টিডিসি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গভীর শোক ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। শহীদ পরিবারের সদস্যরা আন্দোলনে নিহতদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোকর‍্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের করিডর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি শোকর‍্যালি বের হয়। অংশগ্রহণকারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা প্রদক্ষিণ করে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক আন্দোলনভিত্তিক তিনটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন।

আলোচনা পর্বে সরাসরি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. আলী রেজা ফারুক এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমানসহ অনেকে।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা আন্দোলনে নিহতদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ সময় উপাচার্য তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৬ জুলাই শুধু শোকের নয়, এটি অনুপ্রেরণার দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। আন্দোলনে নিহতদের আমরা ভুলিনি, ভুলব না কোনো দিন।’

তিনি জানান, বাকৃবিতে গঠিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট ও সিন্ডিকেটের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঘটে যাওয়া সব অন্যায়ের বিচার শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দেন।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বাকৃবিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।