বিজয়ের সাজে সেজেছে শেকৃবি
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালী জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন। যেই দিনটির সাথে মিশে আছে প্রত্যেক বাঙালির আবেগ, অনূভুতি ভালোবাসা। এই দিনেই পাকিস্তানি শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায় বাঙালী জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ নামক নতুন এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। আর এই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের রঙিন সাজে সেজেছে পুরো রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
লাল, সবুজ, সাদা, হলুদ সহ হরেক রকমের রং বেরঙের আলোই আলোকিত পুরো ক্যাম্পাস। আর শীতের আমেজ যেন যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। শীতের আমেজের সাথে রং বেরঙের আলোক রশ্মি উচ্ছ্বাসিত করছে পুরো ক্যাম্পাস এলাকাকে। রঙ-বেরঙয়ের আলোই জানান দিচ্ছে দেশবাসীর সাথে বিজয় দিবস পালনের জন্য প্রস্তুত ধুলোবালির শহরে একখণ্ড সবুজ পরিবেশে গড়ে উঠা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কমাল ভবন , কৃষি অনুষদ ভবন, প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন সহ সব হল সেজেছে বিজয়ের সাজে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এক অন্য রকম অনুভূতি এবং বাড়তি আনন্দের সঞ্চার করেছে। শিক্ষার্থীরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে এদিক-সেদিক ঘুরা-ফেরা করছেন।
ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যহীন স্বাধীন দেশের প্রত্যাশায় মুক্তিযোদ্ধারা যে বিজয় এনেছিল, বিগত দিনগুলোতে আমরা সব স্বাধীনতা এক প্রকার হারিয়েই ফেলেছিলাম। জুলাই আন্দোলনে আমরা আবার নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একাত্তর এবং চব্বিশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশে গড়তে পারবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সেই সাথে বিজয় দিবসে আমি শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। বেকারত্বের সমাধান চাই। সেই সাথে জাতির সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক গোলামি থেকে মুক্তি চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে যেন কোন স্বজনপ্রীতি না থাকে, কর্মক্ষেত্রে যেন সবাই সমান সুযোগ পায় এটাই আমার চাওয়া। সর্বোপরি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজন উপহার দেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের সকল হল সমূহ সুসজ্জিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইভেন্ট আমরা হাতে নিয়েছি। ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ প্রতিটি হলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। গতবছরের চেয়ে এবছর বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। সার্বিকভাবে আমরা আশা করছি শিক্ষার্থীরা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলে উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারবে।