বাকৃবিতে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস পালিত

বাকৃবি মুক্ত দিবস উপলক্ষে মরণ সাগরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য
বাকৃবি মুক্ত দিবস উপলক্ষে মরণ সাগরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য  © টিডিসি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

দিবসটি উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু করে মারণসাগর পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। পরে মরণ সাগরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমানসহ শিক্ষার্থীরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

BKB Inner

বাকৃবি মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা ১৬ ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। এর আগে ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শত্রুমুক্ত হয়। এই শত্রুমুক্তির সংগ্রামে বাকৃবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিন্ডিকেট কমিটি

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতোই আমরা জুলাই মাসেও জালিম ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং আগস্ট মাসে বিজয় অর্জন করেছি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনো জালিম সরকার বা গোষ্ঠী আমাদের দমিয়ে রাখতে না পারে। এ দেশের মাটিতে কোনো জালিমের জায়গা হবে না। সবাই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের এমন সক্ষমতা দিন, যাতে আমরা ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থাকতে পারি।’


সর্বশেষ সংবাদ